Total Pageviews

Saturday, 4 August 2012

আর পাহাড়ে অশান্তি নয়: মমতা

দার্জিলিং: আর আন্দোলন, অশান্তি নয়৷ বাংলাকে অখণ্ড রেখে সবাই মিলে এ বার পাহাড়ে উন্নয়নের কাজ করতে হবে৷ জিটিএর শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে আজ এ ভাবেই একইসঙ্গে অখণ্ডতা ও উন্নয়নের বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত নতুন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিন্ডে বললেন, বিজয় দিবস৷ উন্নয়নের সুর প্রশাসক বিমল গুরুংয়ের গলাতেও৷ আর পাহাড় জুড়ে এখন শুধু উত্সবের আমেজ৷


শনিবার পাহাড়ে 'পরিবর্তন'-এর পর মোর্চা প্রধান গুরং এদিন প্রশাসকে পরিণত হলেন৷ জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ পদে শপথ নিলেন তিনি৷ এদিনের জিটিএ-র শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানকে মূল সুরে বাঁধল একটাই বার্তা৷ উন্নয়ন। সেই ডাক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী থেকে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, বিমল গুরুং সকলেই৷ বাংলাকে অখণ্ড রাখার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, এ বার উন্নয়নের লক্ষ্যে সবাইকে এগোতে হবে৷ টাকার কোনও অভাব হবে না৷ মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা, পাহাড়ে বিশ্ববিদ্যালয়, পলিটেকনিক, আইটিআই হবে৷ আইটি হাব হবে৷ রাস্তাঘাট হবে৷ জোর দেওয়া হবে পর্যটন শিল্পে৷ তৈরি হবে কর্মসংস্থান৷ 
মমতা এদিনের অনুষ্ঠানকে বলেছিলেন ঐতিহাসিক৷ আরও একধাপ এগিয়ে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দিনটিকে বিজয় দিবস বলে ঘোষণা করে বলেন, পাহাড়ের উন্নয়নে কেন্দ্র-রাজ্য সব রকম সাহায্য করবে৷ দেওয়া হবে ২০০ কোটি টাকা। প্রয়োজনে আরও অর্থ সাহায্য করা হবে। উন্নয়নের সুর ছিল প্রশাসক  গুরুংয়ের গলাতেও৷ তিনি বলেন, মানুষের আশা-আকাঙ্খাকে মর্যাদা দিয়ে পাহাড়ের হৃত গৌরব ফেরানোই এখন প্রধান কাজ৷ 
এদিন সকাল ১১টা ১৯ মিনিটে জিটিএ-র চিফ এক্সিকিউটিভ পদে শপথ বাক্য পাঠ করেন বিমল গুরুং৷ রাজ্যপাল এম কে নারায়ণন তাঁকে শপথবাক্য পাঠ করান৷ এর পর জিটিএর বাকি ৪৪ জন নির্বাচিত এবং ৫ জন মনোনীত প্রার্থীকে শপথবাক্য পাঠ করান রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব৷

No comments:

Post a Comment