Total Pageviews

Friday, 7 September 2012

কোমলকাণ্ডে গ্রেফতারি নিয়ে প্রশ্ন


কোমলকাণ্ডে এবার প্রকাশ্যে নয়া তথ্য৷ কোমলের স্বামী সাগরের মতোই কার্যত বিনা প্রমাণে গ্রেফতার করা হয় তাঁর বন্ধু প্রশান্তকেও৷ পুলিশ সূত্রে খবর, অপমানে জেলের মধ্যেই আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রশান্ত৷ বাড়িতে সেই খবর দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ৷ কেন প্রমাণ ছাড়াই গ্রেফতার? উঠছে প্রশ্ন৷কোমলকাণ্ডে তাঁর স্বামী সাগর শ্রীবাস জামিন পেলেও এখনও হাজতে তাঁর বন্ধু প্রশান্ত শর্মা৷ অভিযোগ, সাগরের মতোই বিসিএ-র ছাত্র ছত্তীসগঢ়ের রায়গড়ের বাসিন্দা প্রশান্তকেও কোনও প্রমাণ ছাড়াই গ্রেফতার করেছে পুলিশ৷ অভিযোগ, সেই অপমানেই জেলের মধ্যে আত্মহত্যার চেষ্টা করে প্রশান্ত৷ 

প্রশান্তর পরিবারের দাবি, ২৩ জুলাই প্রশান্তর বাড়িতে যায় লেকটাউন থানার পুলিশ৷ জানানো হয়, তাঁর বিরুদ্ধেও কোমল কাডেলকে অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেছে তাঁর পরিবার৷ তারপর প্রশান্তকে স্থানীয় থানায় ডেকে গ্রেফতার করা হয়৷ ২৪ তারিখ তোলা হয় আদালতে৷ এরপরই তাঁকে ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতায় নিয়ে আসা হয়৷ 
বর্তমানে দমদম সেন্ট্রাল জেলে বন্দি প্রশান্ত৷ কিন্তু, এই ঘটনাই চাঞ্চল্যকর মোড় নেয় ৩১ অগাস্ট৷ জেল সূত্রে খবর, এইদিন বেলা ১১টায় জেলের শৌচাগারের কাছে পড়ে থাকা একটি ধারালো জিনিস দিয়ে গলার নলি কেটে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন প্রশান্ত৷ অন্যান্য বন্দিরা প্রশান্তকে গুরুতর আহত অবস্থায় দেখে কর্তৃপক্ষকে খবর দেন৷ তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় আর জি কর হাসপাতালে৷ এবিষয়ে কিছু জানে না বলে জানিয়েছে দমদম থানা৷ 
এই ঘটনাই কোমলকাণ্ডে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে ফের নতুন প্রশ্ন তুলে দিল৷ বুধবারই বিধাননগরের গোয়েন্দা প্রধান স্বীকার করে নেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে অপহরণে জড়িত থাকার কোনও প্রমাণ এখনও মেলেনি৷ তাহলে কেন প্রমাণ ছাড়া প্রশান্তকে গ্রেফতার করা হল? জেলের মধ্যেই বা কীভাবে রক্ষীদের নজর এড়িয়ে প্রশান্ত আত্মহত্যার চেষ্টা করলেন? বিভিন্ন মহলে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে৷ প্রশান্তর পরিবার সূত্রে খবর, কোমলই এখন প্রশান্তর মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগী হয়েছেন৷ শুক্রবার বিধাননগর আদালতে প্রশান্তর মুক্তির বিষয়ে নতুন করে আর্জি জানাচ্ছেন তাঁর আইনজীবী৷

No comments:

Post a Comment