দীর্ঘদিন আত্মগোপনের পর অবশেষে আত্মসমর্পণ করলেন নন্দীগ্রাম নিখোঁজকাণ্ডে অভিযুক্ত দুই সিপিএম নেতা৷ নন্দীগ্রাম জোনাল কমিটির প্রাক্তন সম্পাদক অশোক বেরা এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা কমিটির সদস্য খেজুরির বিজন রায় বুধবার হলদিয়া মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন৷ সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত হওয়ার ভয়েই তাঁদের এই আত্মসমর্পণ বলে মনে করছে সিআইডি৷ নন্দীগ্রাম নিখোঁজকাণ্ডে সিআইডির চার্জশিটে উল্লেখ রয়েছে, ৪ নভেম্বর কলাগাছিয়া পার্টি অফিসে বসে হামলার ছক কষেন লক্ষ্মণ শেঠ ও অমিয় সাহু৷ উপস্থিত ছিলেন বিজন রায়,অশোক বেরার মতো আরও ১৬ জন নেতা৷ পাশপাশি, খেজুরির সিপিএম নেতা হিমাংশু দাসের ঘনিষ্ঠ বিজন রায় দেহগুলি অ্যাম্বুলেন্সে করে পাচার করে সাগরে ভাসিয়ে দেওয়ার ঘটনাতেও জড়িত বলে সিআইডি তদন্তে উঠে এসেছে৷
২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামে ভূমি উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মিছিলে গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে সিপিএম নেতাদের বিরুদ্ধে৷ অভিযোগ কমিটির বেশ কয়েকজন সদস্যের দেহ লোপাট করে দেওয়া হয়৷ নিখোঁজ ৭ জনের পরিবার কলকাতা হাইকোর্টে হেবিয়াস করপাস মামলা করেন৷ ঘটনার সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেয় আদালত৷
নন্দীগ্রাম নিখোঁজকাণ্ডে গত ৩০ জানুয়ারি ৮৮ জনের নামে চার্জশিট দেয় সিআইডি৷ এই মামলায় লক্ষ্মণ শেঠ, অমিয় সাহু, অশোক গুড়িয়া-সহ ১৯ জন বর্তমানে জামিনে মুক্ত৷ জেলে রয়েছেন ৮ জন৷ বুধবার দু’ই সিপিএম নেতার আত্মসমর্পণের পর এখনও ফেরার ৫৯ জন৷ তাঁদের মধ্যে রয়েছেন তপন ঘোষ সুকুর আলি, হিমাংশু দাস, সুভাষ মাইতি, এনতাজ আলির মতো তাবড় সিপিএম নেতা৷
সম্প্রতি নন্দীগ্রাম নিখোঁজকাণ্ডে অভিযুক্ত ফেরার সিপিএম নেতাদের নামে হুলিয়া জারি করে হলদিয়া মহকুমা আদালত৷ ২৪ সেপ্টেম্বর শেষ হচ্ছে ওই হুলিয়ার মেয়াদ৷ সিআইডি সূত্রে খবর, এরমধ্যে আত্মসমর্পণ না করলে সিআইডি হলদিয়া মহকুমা আদালতে ফেরার বাকি সিপিএম নেতা, কর্মীদের সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার আবেদন জানাতে পারে৷
No comments:
Post a Comment