Total Pageviews

Wednesday, 19 September 2012

প্রত্যাবর্তনে ফের বাজিমাত শ্রীদেবীর

ফিরে এলেন। এবং জয় করলেন। ১৫ বছর পরে। ১৯৯৭ সালে ‘জুদাই’ ছবির পর পরিচালক বনি কপূরকে বিয়ে করে চলে গিয়েছিলেন স্বেচ্ছা নির্বাসনে। ১৫ বছর পর সেই নির্বাসন ভেঙে ফিরে এসে কুড়িয়ে নিলেন ‘ভারতের মেরিল স্ট্রিপ’-এর খেতাব। 
বুঝিয়ে দিলেন তিনি কেবল ‘রূপ কি রানি’ই নন, অভিনয়ের রানিও বটে। মনের মতো চরিত্র পেয়েছিলেন বলে পরিচালক গৌরী শিন্দের প্রথম ছবিতে কাজ করার সিদ্ধান্ত নিতে দ্বিতীয় বার ভাবেননি। মঙ্গলবার টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে ‘ইংলিশ ভিংলিশ’ শেষ হওয়ার পর দর্শকেরা উঠে দাঁড়িয়ে টানা ১০ মিনিট ধরে হাততালি দিয়ে তাঁর অভিনয়ের পাশাপাশি সেই সিদ্ধান্তকেই সম্মান জানালেন।
“এত বছর বাদে পর্দায় ফিরে আসা। তার উপর আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের কাছ থেকে ‘ভারতের মেরিল স্ট্রিপ’ আখ্যা। সব মিলিয়ে জীবনটা যেন হঠাৎ করেই পাল্টে গেল” বললেন শ্রীদেবী। সব্যসাচীর ডিজাইনার নীল-কালো শাড়িতে তিনি অসাধারণ গ্ল্যামারাস। এই উনপঞ্চাশেও। অথচ ‘ইংলিশ ভিংলিশ’-এর শশীর নজর কেড়ে নেওয়া গ্ল্যামার নেই। তিনি এক নিতান্ত সাদামাটা মধ্যবিত্ত গৃহবধূ। ইংরেজি শেখার জন্য একটি ক্লাসে ভর্তি হয়েছেন। মজার শুরু সেখান থেকেই। হোঁচট খেয়ে খেয়ে ইংরেজি বলতে বলতেই নানা পেট ফাটানো হাসির ঘটনা ঘটাতে থাকেন শশী। ছবিটি দেখে শ্রীদেবীর অভিনয়কে ‘অসাধারণ’ না বলে থাকতে পারেননি টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবের দর্শক-সমালোচকরা। আর ছবিটি সম্পর্কে দু’কথা বলতে উঠে শ্রীদেবী যখন শশীর মতোই তুতলিয়ে ইংরেজি বলতে শুরু করলেন তখন উঠে দাঁড়িয়ে তাঁরাই টানা ১০ মিনিট ধরে হাততালি দিয়ে কুর্নিশ জানালেন অভিনেত্রীকে। 
আর দর্শকেরা যখন শ্রীদেবী এবং পরিচালক গৌরী শিন্দেকে এমন ভাবে অভিনন্দন জানাচ্ছেন, তখন চোখ চিকচিক করে উঠেছিল অন্য দু’জনের। তাঁরা হলেন বনি কপূর এবং আর বালকি। পরিচালক গৌরীর স্বামী আর বালকি এই ছবিটির প্রযোজকও বটে। স্ত্রীদের সাফল্যে অভিভূত তাঁরাও। টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রীদেবীর সঙ্গে হাজির ছিলেন তাঁর স্বামী বনি কপূর ছাড়াও দুই মেয়ে জাহ্নবী এবং খুশি। উচ্ছ্বসিত ‘বলিউডের প্রথম মহিলা সুপারস্টার’-এর মেয়েরাও। তাদের জন্যই তো অভিনয় জগৎ থেকে সরে গিয়েছিলেন শ্রীদেবী!
‘ইংলিশ ভিংলিশ’-এ একটি ছোট চরিত্রে অভিনয় করেছেন অমিতাভ বচ্চনও। টরন্টো চলচ্চিত্র উৎসবে হাজির থাকতে চেয়েছিলেন তিনি । তবে ‘কৌন বনেগা ক্রোড়পতি’র শু্যটিংয়ে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি তিনি। কিন্তু অভিনেত্রী ও পরিচালিকাকে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন।
বহু সাফল্য পিছনে ফেলে বলিউডের রোশনাই থেকে সরে গিয়েছিলেন। এ বার কি তা হলে নিজের জগতে প্রত্যাবর্তন? শ্রীদেবী জানালেন, অভিনয় করুন বা না করুন, নিজের জীবনটা শশীর মতোই সাদামাটা ভাবে কাটিয়ে দিতে চান। আর পাঁচটা মায়ের মতো মেয়েদের সঙ্গে প্রচুর কেনাকাটা আর টরন্টো ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা আছে। পাপারাৎজির নজর এড়িয়েই।

No comments:

Post a Comment